উন্নতির শিখরে কে না পৌঁছাতে চায়! আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছেন যারা প্রচুর অর্থ আয় করে ফেলেছেন আর কিছু মানুষ আছেন যারা অনেক কষ্ট করে রোজগার করছে শুধুমাত্র দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য। তারা তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করার জন্য দিনরাত অনেক পরিশ্রম করছেন কিন্তু তাও তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না।
সবাই চাই যাতে আর্থিক সমস্যা না থাকে । সবাই চায় একটু সুখে শান্তিতে থাকতে। তার জন্য অনেকে অনেক কিছুই করে থাকেন ।কেউ তাবিজ ধারণ করেন, কেউ বিভিন্ন পুজোপাঠ করেন ।তবে পুরান মতে বিভিন্ন উপায় আছে আর্থিক সমস্যা দূর করার।
চলুন জেনে নেওয়া যাক আর্থিক সমস্যা সমাধানের কিছু উপায়-
১.হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক প্রাচীন গ্রন্থে বলা হয়েছে যে অর্থনৈতিক সমস্যা চলাকালিন যদি নিয়মিত ধনের দেবতা কুবেরের মন্ত্র পাঠ করা যায় তাহলে সহজেই মিলবে সমাধান। ধনতেরাস, কালীপূজা, অক্ষয় তৃতীয়ায় এই মন্ত্র পাঠ করলে বেশি ফল পাওয়া যায়। এবং বিকেল ও রাতের বেলা এই মন্ত্র পাঠ করলে বেশি লাভবান হবেন।
আরও পড়ুনঃ মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো শিবলিঙ্গ, সাথে সাপ !

২. আপনার বাড়িতে মহাবলী হনুমান জির পঞ্চমুখী প্রতিমা অথবা ছবি রাখুন।আর সেটিকে অবশ্যই দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখতে হবে এবং নিয়মিত পুজো করতে হবে।প্রতি বৃহস্পতিবার হনুমানজির সামনে এক টুকরো ফটকিরি রেখে দিন। মনের সকল ইচ্ছা জানিয়ে হনুমানজির আরাধনা করুন।এবং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। যদি নিয়ম মেনে পূজা করতে পারেন তাহলে ধন সম্পত্তি সম্পর্কিত সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

৩. আপনার বাড়িতে যদি লক্ষ্মী ঠাকুর থাকে তাহলে প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা বেলায় ঘরে এবং বাড়ির আশেপাশে ধুপ ধুনো দেখিয়ে প্রদীপ জ্বেলে লক্ষীর ঘট স্থাপন করে দেবী লক্ষ্মী পূজা করুন এবং শেষে পাঁচালী পরুণ এতে সংসারের আর্থিক সমস্যা কেটে যাবে।
আরও পড়ুনঃ সঙ্কট থেকে বাঁচতে পুজো করুন শিবের, রাশি অনুযায়ী পালন করুন শ্রাবণ মাসের সোমবার
বৃহস্পতিবার ভোরবেলা উঠে বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে কপার ধাতু দিয়ে তৈরি প্লেটের উপর শ্রীযন্ত্র চিহ্ন আকুন। এবং ব্রঞ্চ এর পাত ও বার্ক গাছের ছাল দিয়ে লক্ষ্মীপুজো করুন। এবং বেশকিছু ঝিনুক নিয়ে জাফরান ও হলুদ দিয়ে রং করে সেটিকে হলুদ কাপড়ে পেঁচিয়ে লক্ষ্মীপুজোর সামনে রাখুন তারপর পুজো হয়ে গেলে কোন নিরাপদ স্থানে সেটিকে রেখে দিন এর ফলে আপনি কোনদিন আর্থিকভাবে সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।

পুজো শেষ হয়ে গেলে সাদা কাগজে লাল কালি দিয়ে লক্ষ্মী যন্ত্র আকুন তারপর সেটিকে ঠাকুরের সামনে রাখুন এরপর ময়দা, চিনি ,দুধ দিয়ে নাড়ু তৈরি করে মাছেদের খাওয়ান, এটি করতে পারলে আর্থিক কষ্ট আপনাকে ছুঁতেও পারবে না।
আরও পড়ুনঃ ২৬ শে জুলাই কার্গিল বিজয় দিবসে রইলো কিছু অজানা তথ্য
৪. প্রতিদিন অল্প চিনি বা আটা পিঁপড়েকে খাওয়ান। এর ফলে যে কোনো ঋণ থেকে খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে পারেন।

৫. 250 গ্রাম কালো তিল এর মধ্যে 150 গ্রাম অড়হর ডাল মিশিয়ে এর আটা বেটে নিন। প্রতি মঙ্গলবার ওই আটা দিয়ে একটি প্রদীপ বানান এবং সরিষার তেল দিয়ে প্রদীপটি জ্বালুন ।এবং ওই প্রদীপটি আপনার ঠাকুর ঘরে রাখুন। ওইখানে হনুমান ঠাকুরের ছবি থাকলে আরো বেশি ফলদায়ক হয়।
আরও পড়ুনঃ আপনার জীবনসঙ্গিনী আপনার কাছ থেকে যে আটটি কথা শুনতে চান তা জেনে নিন
আপনাকে শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে প্রতি মঙ্গলবার জানা প্রদীপের সংখ্যা বৃদ্ধি হয় এবং এগারোটি মঙ্গলবার আপনাকে জ্বলাতে হবে। এর ফলে আপনার আর্থিক সমস্যা দূর হবে।
৬.বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী একটি কলসিতে জল ভরে যদি উত্তর দিকে রেখে আসেন তাহলে আপনার আর্থিক সমস্যা দূর হবে ।আপনার আমদানির উৎস বৃদ্ধি পাবে।